Wednesday, October 17, 2018

আমাদের জীবন ।



ছোটবেলায় ঘুমানোর সময় পাশে
আম্মা ফিডার রাখতো, কান্না করে
ঘুম ভাঙলে ফিডার মুখে দিতো।
বিশেষ দরকারে মাথার কাছেই
থাকতো কাঁথা। একটু বড় হবার পর
ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে
খেলনা নিয়ে ঘুমাতাম। ঘুম ভাঙলেই
হাত দিয়ে দেখতাম গাড়ী ঠিক আছে
কিনা। মনে আছে প্রথম যেদিন ব্যাট
কিনি, ঘুমানোর সময় বালিশের
পাশে রেখেই ঘুমাতাম। একটু বড় হবার
পর বালিশের পাশের জায়গা দখল
করে নিল জাফর ইকবাল স্যারের বই
কিংবা তিন গোয়েন্দা। তার কিছু
দিন পরই বালিশের পাশে থাকতো
মোবাইল, ঘুম ভাঙলেই চেক করতাম,
অযথা সময় দেখা কিংবা বন্ধুকে
টুপটাপ করে দু একটা মিিসডকল দেয়া।
এটা ওটা করতাম। স্নেক গেম
খেলতাম। এরপর আসলো ল্যাপটপ। ইউজ
করতে করতে ঘুমাতাম, ঘুম ভাঙলেই
ল্যাপটপ খুলে বসতাম। এখন ল্যাপটপের
পাশে থাকে সিগারেটেরর প্যাকেট
এবং লাইটার। ঘুম ভাঙলেই জ্বালিয়ে
দেই।
সময় পাল্টাবে!!!
ঘর আলো করে বউ আসবে। বালিশের
পাশটা থেকে ল্যাপটপ উধাও হয়ে কত
কি না থাকবে।
সে সময় আবার পাল্টে যাবে। দুজনের
মাঝখানে নতুন মানুষ ঘুমাবে। তখন
আবার সেই পুরোনো কাঁথা বালিশ,
ফিডার। ক্রমেই আমাদের স্থান দখল
করে নিবে নতুন মানুষ। তার খেলনা,
ফিডার। এ সময়ও বেশি দিন থাকবে
না। এক দিন বালিশের পাশে একটা
চাইনিজ টর্চ আর লাঠি নিয়ে ঘুমাতে
হবে। মাঝ রাতে ঘুম ভেঞে গেলে
থুরথুর করে লাঠি ভর দিয়ে বাথরুমের
রওনা দিতে হবে।
সময়টা ঠিক ঘুম বালিশের পাশের
স্থান টুকুর মতই পরিবর্তনশীল।

No comments:

Post a Comment

বাকি জীবনটা তোমার হাত ধরে চলতে চায় ।

আজকের দিনটা অন্য দিনের মতো না ।  কেননা বারটা ছিল  12/07/19 সপ্তাহে সেরা দিন শুক্রবার আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মাতোয়ারার সাথে দেখা হওয়া । ...